সম্প্রতি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে একটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছড়ানো হয়। সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয়, সেখানে এক সংখ্যালঘু নারীর ওপর গণধর্ষণ ও বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৮ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে উক্ত বাড়িতে চুরি ও অজ্ঞান করার ঘটনা ঘটেছিল। ডাকাতরা বাড়ির তিনজন সদস্যকে অচেতন করে ঘরের স্বর্ণালংকার, ৫০ হাজার টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে নেয়।
পরদিন স্থানীয়রা তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগীরা হলেন কিশোর কুমার রায় (৬৫), হিমাংশু শেখর রায় (৭০) এবং চন্দনা রায় (৫০)। বর্তমানে সবাই মোটামুটি সুস্থ। ঘটনার পর বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু রাজনৈতিক পেজ এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গণধর্ষণের রূপ দিয়ে প্রচার করে, যা পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্যে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং কোনো মামলা দায়েরও হয়নি। স্পষ্টতই, এটি ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার।
তথ্যসূত্র:
স্থানীয় পুলিশের প্রেস ব্রিফিং: https://www.facebook.com/share/v/19HPqggwCx/