আলোচিত দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, এটি সম্পূর্ণ গুজব এবং এর সঙ্গে প্রচারিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নামে প্রকাশিত অফিস আদেশটি ভুয়া। মন্ত্রণালয়ের নামে প্রচারিত নথিটির কোনো ধরনের বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া যায়নি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও এ ধরনের কোনো নথির অস্তিত্ব মেলেনি—যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি একটি সম্পাদিত।
গ্রামীণ ট্রাস্টকে সরকারের পক্ষ থেকে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ দেওয়ার দাবি সম্পর্কেও অনুসন্ধানে দেশের কোনো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। সাধারণত সরকার এ ধরনের কোন বিতর্কিত বড় সিদ্ধান্ত নিলে তা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হওয়া স্বাভাবিক, অথচ এই বিষয়ে কোনো সংবাদ না থাকাটাই দাবিটির সন্দেহজনক চরিত্রকে তুলে ধরে।
অনুসন্ধানে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে—এই ভুয়া তথ্য মূলত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক পেজ ও গ্রুপ থেকে ছড়ানো হচ্ছে। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা, যার উদ্দেশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ও অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।