সম্প্রতি ‘Anonymous Main Page’ নামক একটি ফেসবুক পেজ দাবি করে, তারা নাকি মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে ফ্যাক্ট রিভিউ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এটি কোনো বাস্তব ও নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী ছিল না বরং ঘটনাটির সঙ্গে আংশিক মিল থাকায় তারা আগের অস্পষ্ট পোস্টকে এখন ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করছে।
এই ধরনের পেজগুলো সাধারণত বিভিন্ন দুর্যোগ, হামলা বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নিয়ে অর্ধেক সত্য ও জেনেরিক ভাষায় কিছু লেখা পোস্ট করে রাখে। পরে যদি কোনো ঘটনা সত্যি ঘটে এবং তা তাদের পূর্বের পোস্টের সাথে দূর থেকে মিলেও যায়, তখন তারা সেই পুরনো পোস্টকে “ভবিষ্যদ্বাণী” হিসেবে চালিয়ে দিয়ে জনমনে ভয় ও কৌতূহলের পরিবেশ তৈরি করে। উদ্দেশ্য একটাই—ভিউ, শেয়ার, ফলোয়ার এবং গুজবের বাণিজ্য।
যেমন, মাইলস্টোন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পেজটি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতাকে ইঙ্গিত করলেও তদন্তে এর কোনো সত্যতা মেলেনি। তাদের পোস্টের বক্তব্য বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এরপর তারা “বাংলাদেশে আরও বোমা হামলা হবে” বা “প্রে ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ” শিরোনামে ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দর্শককে টার্গেট করে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চালায়।
মূলত এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল: অস্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর অভিনয়, পরে জনমনে ভীতির মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ এবং নিজের প্রচার-প্রসার। তাই এমন পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হয়ে যাচাই-বাছাই করে যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণ করাই হলো তথ্যসচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।