সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে—এমন দাবিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তবে আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অনুসন্ধান করে নিশ্চিত করেছেন, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি; বরং রুটিন নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে, যা একটি স্বাভাবিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
এছাড়া সেনাপ্রধানকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং কাল্পনিক। কোনো সরকারি বা নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন কোনো কার্যক্রমের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেনি।
রাখাইন করিডোর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার গুজবটিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব কৌশলগত স্থাপনাকে ঘিরে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি বা হস্তান্তরের আলামত নেই। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় এ ধরনের পদক্ষেপ সরকার বা সেনাবাহিনীর পক্ষে গোপনে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই গুজবের উৎস মূলত আওয়ামী লীগের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ এবং অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে গুজবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য হলো দেশের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করে অস্থিরতা তৈরি এবং রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করা।
অতএব, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন রাজনৈতিক গুজব।