ময়মনসিংহে সত্যজিত রায়ের ঠাকুরদার বাড়ি ভেঙে ফেলার দাবি সামাজিক মাধ্যম ও কিছু কলকাতার গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও, ফ্যাক্ট রিভিউ টিমের অনুসন্ধানে এর কোনো বাস্তব ভিত্তি পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা গেছে, যেটি ভাঙা হয়েছে তা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের বাড়ি নয়। প্রকৃতপক্ষে, উপেন্দ্রকিশোরের পৈত্রিক বাড়ি ভাঙা স্থাপনাটি থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে অবস্থিত, যেখানে বর্তমানে একটি ১৪ তলা ভবন রয়েছে।
ভাঙা ভবনটি একসময় রাজা শশীকান্তের খাজনা আদায়ের কাচারি বাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে এটি রণপ্রসাদ নামে এক ব্যক্তিকে বসবাসের জন্য দেওয়া হয়, যিনি কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।
শিশু একাডেমির সূত্রে জানা গেছে, এই ভবনটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তালিকাভুক্ত নয় এবং এর সঙ্গে সত্যজিত রায়ের কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। এটি শিশু একাডেমির নিজস্ব মালিকানাধীন সম্পত্তি, যা প্রতীকী মূল্যে কেনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভবনটি ভেঙে নতুন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, সত্যজিত রায়ের দাদা হরিকিশোর রায়ের বাড়ি ছিল হরিকিশোর রায় রোডে, যা পরবর্তীতে বিক্রি হয়ে যায়। অতএব, সামাজিক মাধ্যম ও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত দাবিটি বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন গুজব।