ম্প্রতি “মাদ্রাসার শিক্ষকের জঙ্গি তাণ্ডব” শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয়, একজন শিক্ষক অনৈতিক প্রস্তাব না মানায় এক ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করছেন। রিভার্স ইমেজ সার্চ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের শরীন তাগাব জেলার এক মাদ্রাসার।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘দারুল হিফাজ’ নামের একটি মাদ্রাসায় ক্বারী কুদরাতুল্লাহ নামের এক শিক্ষক ছাত্রকে মারধর করেন। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হলে ইসলামিক আমিরাত বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। Daryo ও Tolonews-সহ একাধিক উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, শিক্ষক কুদরাতুল্লাহ ছাত্রদের শারীরিক শাস্তির পক্ষে ছিলেন এবং আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সুতরাং, ভিডিওটিকে বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচার করা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা মাদ্রাসা ও ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনমনে ভুল বার্তা দেয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: