কোনো নোটিশ ছাড়া ঢাকায় খিলক্ষেত দুর্গা মন্দির বুলডোজারে গুড়িয়ে দেওয়ার দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধান চালালে জানা যায়, মন্দিরটি মূলত বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল। দখলকৃত জায়গাটির সামনের সাইনবোর্ডে বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতার নাম উল্লেখ ছিল।
উক্ত বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বললে পুলিশ জানায়, এটি রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং সেখানে মন্দিরের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দখলের চেষ্টা চলছে। ফ্যাক্ট রিভিউ টিম পূর্বেও এ মন্দির সংক্রান্ত বিষয়ে একটি পোস্ট করেছিল, যার লিংক নিচে দেওয়া আছে।
কোনো নোটিশ ছাড়া মন্দিরটি গুড়িয়ে দেওয়ার দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত রেলের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানে মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানকালে আরও কিছু স্থাপনা ও অস্থায়ী দোকানপাটও ভেঙে ফেলে রেলওয়ে।
বিভাগীয় (ঢাকা) রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ কালবেলাকে বলেন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেলের সব জমি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। গত জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আজ (গতকাল) কুড়িল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রেলের জমিতে মন্দির থাকার কথা না। তবুও উচ্ছেদের আগে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মন্দিরে থাকা বিগ্রহ ট্রাকে করে আগে সরিয়ে নেওয়া হয়, তারপর মন্দির ভাঙা হয়।”
অতএব, অন্যান্য সব অবৈধ স্থাপনার মতো উক্ত মন্দির সম্পর্কেও গত জানুয়ারিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তাই ‘কোনো নোটিশ ছাড়া মন্দিরটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’—এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এটি কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়।
Fact review: