সম্প্রতি কিছু হিন্দুত্ববাদী প্রোপাগান্ডা নেটওয়ার্কসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা একটি নারীর ছবি ভাইরাল করে দাবি করে যে, বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, ছবিতে থাকা নারী একজন ২৩ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা মুসলিম নারী, যার নাম মারিয়া আক্তার (বা মারিয়া বেগম)। ২৯ জুন বরিশাল সদর উপজেলার তালুকদার হাট এলাকায় মারিয়াকে হাত-পা বাঁধা এবং পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তিনি বর্তমানে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মারিয়ার অভিযোগ, স্বামীর সাবেক স্ত্রীর আত্মীয়রা তাকে গর্ভপাত ঘটাতে অপহরণ করে নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফেরি মিস করার পর বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হন। এরপর তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, মারিয়ার স্বামী মোশিউর রহমান একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি মারিয়ার বাবার বাড়িতে থাকতেন। চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, তার শরীরে যৌন নির্যাতনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। রিভার্স ইমেজ সার্চ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এ ঘটনা ধর্মীয় নয় বরং পারিবারিক সহিংসতার একটি মর্মান্তিক উদাহরণ। তাই একে হিন্দু নারীর ধর্ষণ বলে প্রচার করা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র: