ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ঘনিষ্ঠ মহল সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করছে—এই দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়ালেও বাস্তবে এর পেছনে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় একটি অখ্যাত সূত্র (TripuraInfo) থেকে ছড়ানো তথ্যে বলা হয়, ইউনূস সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে অর্থ ৩৩ গুণ বেড়েছে, কিন্তু এই তথ্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং বা কূটনৈতিক কোনো সংস্থার প্রতিবেদন দ্বারা নিশ্চিত নয়। সুইস ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল ওয়াচডগদের পক্ষ থেকে এমন কোনো তথ্যও প্রকাশিত হয়নি, যা এই দাবিকে সত্য প্রমাণ করে। বরং ইউনূস নিজেই অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সুইস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানা যায়।
ফ্যাক্ট চেক করলে দেখা যায়, ইউনূসকে জড়িয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারের অভিযোগটি মূলত নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভারতীয় পেজ থেকে তথ্যটি ছড়ানো হচ্ছে। এতে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর ও পরিকল্পিত গুজব। এই ধরনের দাবি প্রচারের মাধ্যমে মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে, যাতে করে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারে।
অতএব, আলোচিত দাবিটির পক্ষে কোনো বিশ্বস্ত সূত্র বা তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটির ছড়ানোর ধারা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক অপপ্রচার।