ঢাকা খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরে উগ্রবাদীদের হামলা ও মন্দির ভাঙার হুমকি সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট জায়গায় একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতার নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দখলের উদ্দেশ্যে মন্দিরের নামে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। সেখানেই মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে, যদিও এখনো সেখানে কোনো মন্দির নির্মিত হয়নি।
জায়গাটির সামনের সাইনবোর্ডে বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং সেখানে মন্দিরের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দখলের চেষ্টা চলছে।
সরকারি সম্পত্তি হোক কিংবা ধর্মীয় স্থাপনার নামে ব্যবহৃত হোক—এ ধরনের দখল ঠেকানো সরকারের দায়িত্ব। সাধারণ মানুষ বা ধর্মীয় কোনো গোষ্ঠীর নয়। যদিও সরকারি কোনো কর্মকর্তা এতে জড়িত কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার নাম ব্যবহার করে মন্দির স্থাপনের নামে জমি দখলের চেষ্টাটি নিছক ধর্মীয় প্রয়াস নয়, বরং তা স্পষ্টভাবে অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
এই ঘটনাকে আওয়ামী লীগের এবং বিজেপির পক্ষে প্রোপাগান্ডা করা কিছু পেইজ ‘বাংলাদেশে মন্দির ভাঙার হুমকি’ এমনকি ‘মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে’ বলে প্রচার চালিয়েছে। তাই অনুসন্ধান শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় রেলওয়ের জায়গাকে কেন্দ্র করে মন্দিরে সাম্প্রদায়িক হামলার যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর গুজব।