সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয়—সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের গ্রামের বাড়ির পেছনের একটি পুকুর থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রায় ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। ভিডিওতে দেখা যায় পানির ওপর ভাসমান একটি ব্যাগ, যেটি থেকে পরে টাকা উদ্ধার হয় বলে দাবি করা হয়। তবে আলোচিত ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধ জানা যায়, ভিডিওটি নাহিদ ইসলামের বাড়ির নয়, বরং এটি বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি ঘটনায় ধারণ করা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এটি ছিল আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির টাকা লুটের মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ির পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র ও নগদ টাকা উদ্ধারের ভিডিও, যা ২২ মে পরিচালিত এক অভিযানের অংশ। মূলত ভিডিওটি ভিডিওটি ‘Chttimes.com‘ নামের একটি ফেসবুক পেজে থেকে সংগ্রহ করে বিভ্রান্তিকর ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম যেমন—নয়া দিগন্ত, যায় যায় দিন ও প্রথম আলো থেকেও ভিডিও এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।জানা যায় যে, এটি একটি ডাকাতি-সংক্রান্ত অভিযানের ভিডিও, এবং এ ঘটনায় নাহিদ ইসলাম বা তার গ্রামের বাড়ির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, ৮ মে রাতে আবুল খায়ের কোম্পানির লামা অফিসে ডাকাতি হয়, এবং সেই ঘটনার তদন্তেই এখন পর্যন্ত ৬ দফা অভিযানে ৫২ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোথাও ৩ কোটির বেশি টাকা উদ্ধারের তথ্য নেই এবং নাহিদ ইসলামের নামও কোনো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। অতএব, নাহিদ ইসলামের বাড়ি থেকে কোটি টাকার উদ্ধার সংক্রান্ত দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব।
তথ্যসূত্র: