সম্প্রতি খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর সন্ন্যাস মন্দিরের জমি নিয়ে একটি বিরোধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক রঙে উপস্থাপিত হচ্ছে। তবে ঘটনাটির সরেজমিন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিষয়টি মূলত জমি সংক্রান্ত একটি স্থানীয় বিরোধ।
জানা গেছে, উক্ত মন্দিরের ১৬ শতাংশ জমির পাশেই মুক্তা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক নিরিন সাহা ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এই জমি ক্রয়ে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি—দালাল গৌর এবং সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ও নওগাঁ কাঁজার অংশের সভাপতি মকছেদ। জমি পরিমাপের সময় মকছেদ ফিতা নিয়ে মন্দিরের জমির ভেতরে কয়েক মিটার প্রবেশ করেন এবং দাবি করেন, তার ক্রয়কৃত জমির কিছু অংশ মন্দিরের জমির মধ্যে পড়েছে।
এ নিয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের সঙ্গে গৌর ও মকছেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। যদিও কথাকাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু ঘটনাস্থলে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি, উক্ত ঘটনার জেরে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগও দায়ের করা হয়নি।
সুতরাং, ঘটনাটি পুরোপুরি একটি জমি নির্ভর বিরোধ হলেও এটি ভিত্তিহীনভাবে সাম্প্রদায়িক আকারে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।