“রাখাইন আগুনে ঘি” শিরোনামে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ঘিরে ছড়ানো করিডর রাজনীতি ও মার্কিন সামরিক ঘাঁটির অভিযোগ একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয়। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবিক করিডর পরিকল্পনায় নীতিগত সমর্থন দিয়েছে, যার উদ্দেশ্য শুধুই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া—এর সঙ্গে কোনো সামরিক ঘাঁটি বা বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে রাখাইনে সামরিক স্থাপনা সংক্রান্ত চুক্তি বা অনুমোদনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের আরাকান আর্মির সঙ্গে সীমিত যোগাযোগও করা হয়েছে শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাস্তবমুখী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে—এটি কূটনৈতিক বাস্তবতা, কোনো পক্ষপাতদুষ্ট নীতি নয়।
এমন প্রেক্ষাপটে ড. ইউনুসকে “ছায়া সরকার” আখ্যা দিয়ে তার ওপর দায় চাপানো এবং করিডর ইস্যুকে কেন্দ্র করে উস্কানিমূলক অভিযোগ তোলা—এসব আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের অবস্থানকে মানবিক ও কৌশলগত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
“CTeam” নামক পেজটি মূলত আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেল দ্বারা পরিচালিত একটি প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম। এই পেজের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনমত প্রভাবিত করা। তাই তাদের এই দাবিটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গুজব।