“শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দিরে মুসলিম জনতার দ্বারা সংঘটিত পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলা” বলে যেটি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেটি অনুসন্ধানে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনাটি আদতে একটি জমি দখলের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হামলা, যার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসারে, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার টিনশেড নির্মিত শ্মশান কালী ও শিব মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা প্রতিমাটি বাইরে ফেলে ভাঙচুর করে এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মন্দির কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী, এটি স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কাজ এবং এলাকাবাসীর কারও সঙ্গে কোনো ধর্মীয় বিরোধ নেই। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে এবং তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, “১০০–১৫০ জন সশস্ত্র মুসলিম জনতা দ্বারা সংঘটিত পরিকল্পিত হামলা” বলে যেটি প্রচারিত হচ্ছে, সেটির কোনো ভিত্তি নেই। এসব দাবির মূল উৎস নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কিছু প্রচার পেজ এবং ভারতের কিছু অনির্ভরযোগ্য অনলাইন পোর্টাল, যেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।
সুতরাং, শ্মশান কালী মন্দিরে হামলার ঘটনাটি কোনো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নয় বরং জমি দখলের উদ্দেশ্যে সংঘটিত একটি স্থানীয় সন্ত্রাসী তৎপরতা।
তথ্যসূত্র:
[https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/oa0403rfpj…](https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/oa0403rfpj… “”)