Monday, June 23, 2025
Test
Google search engine
HomePoliticsমরদেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে পরিবার ও পুলিশের বক্তব্যে বিরোধ আছে, তবে কোনো...

মরদেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে পরিবার ও পুলিশের বক্তব্যে বিরোধ আছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো মেলেনি।

দিনাজপুরের ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা সামনে আসে—একটি পরিকল্পিত হত্যা, একটি নির্যাতনের কারণে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু, আরেকটি স্বাভাবিক মৃত্যু। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে পরিবার ও পুলিশের বক্তব্যে বিরোধ আছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো মেলেনি।

ঘটনার পরপরই কিছু সংবাদমাধ্যম একে নিশ্চিত ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে প্রচার করে, যার বেশিরভাগ প্রতিবেদন লিখেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি—এম এ কুদ্দুস ও সুবল চন্দ্র রায়। ডেইলি স্টার তাদের প্রতিবেদন সরিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, কুদ্দুস ও সুবল একইসাথে সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে যুক্ত, যার ফলে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতিবেদনগুলোর ভাষার মিল, একাধিক পোর্টালে একই লেখকের উপস্থিতি এবং সংশ্লিষ্টদের আওয়ামী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা—সবকিছুই একটি সুপরিকল্পিত সমন্বিত প্রচারণার ইঙ্গিত দেয়। এই প্রচার দ্রুত ভারতীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতের সরকারের তাৎক্ষণিক কড়া বিবৃতি সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। অন্যদিকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে ভবেশ রায়ের মৃত্যু কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, বরং তা অসুস্থতার ফলেই হয়েছে। একই ধরনের তথ্য তুলে ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে—“ভবেশের মৃত্যু অসুস্থতাজনিত”। সবকিছু মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে ঘটনাটিকে ঘিরে অতিরঞ্জিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালানো হয়েছে।

কালের কন্ঠের প্রতিবেদন:
https://www.kalerkantho.com/print…/news/2025/04/21/1506911

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular