আলোচিত দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে ইউএস সেনা সদস্যদের উপস্থিতি এটিই প্রথম নয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর প্রকৃত প্রেক্ষাপট হলো—২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের উদ্যোগে ১৫ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য ‘সুইফট ওয়াটার রেসকিউ ট্রেনিং’ সম্পন্ন করেছেন। প্রশিক্ষণটি মূলত জলোচ্ছ্বাস, আকস্মিক বন্যা ও জলসম্পর্কিত অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এ ধরণের প্রশিক্ষণ ২০২১ সাল থেকেই চলমান। ইউএস আর্মির সহায়তায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অন্তত ২৮০ জন সদস্যকে ‘মেডিক্যাল ফার্স্ট রেসপন্ডার’, ‘হাই অ্যাঙ্গেল রেসকিউ’সহ বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে আরও প্রস্তুত করে তোলা।
এছাড়াও, ২০২৩ সালের মে মাসে রাজশাহীতে ইউএস স্পেশাল অপারেশনস কমান্ড প্যাসিফিকের সিভিল অ্যাফেয়ার্স টিম এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর যৌথভাবে ‘মেডিক্যাল ফার্স্ট রেসপন্ডার সেমিনার’ পরিচালনা করেছিল।
সুতরাং অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া যায়, ইউএস সেনা সদস্যদের এটাই বাংলাদেশে প্রথম কোনো উপস্থিতি বা কার্যক্রম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন। মূলত এটি একটি চলমান রুটিন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই প্রশিক্ষণের ছবিগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: