সম্প্রতি “মবের শিকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মন্ডল!” শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওতে মারধরের শিকার ব্যক্তি আব্দুল জব্বার মন্ডল নন; বরং তিনি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ ওরফে রানা।
১৩ মে রাত ৯টার দিকে সিলেটের রিকাবীবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। মূলত সেই ভিডিওই সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সম্পাদনার মাধ্যমে রেজোলিউশন দুর্বল করে গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিকে সহজে শনাক্ত করা না যায়। ঘটনাটি নিয়ে সে সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
অন্যদিকে, আব্দুল জব্বার মন্ডলের ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেছে—এমন কোনো তথ্য গণমাধ্যম বা সরকারি কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি। অতএব, একটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও কৌশলে ঝাপসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন: