সেনাবাহিনীর একটি অভিযানে এক কলেজছাত্রের বাড়ি থেকে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধারের দাবি সামাজিক ও গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় ফ্যাক্ট রিভিউ টিম। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত আগ্নেয়াস্ত্রটি আসলে কোনো স্নাইপার রাইফেল নয়, বরং এটি একটি সাধারণ গ্যাসচালিত এয়ারগান যার মডেল PX 120। এই ধরনের এয়ারগান অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই সহজে ক্রয়যোগ্য এবং সাধারণত খেলাধুলা, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন বা বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি মরণঘাতী নয় এবং বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই লাইসেন্সবিহীনভাবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
অস্ত্রটি উদ্ধারের সময় সেনা সদস্যের হাতে নেয়ার ভঙ্গিমা, এবং অস্ত্রটির হালকা ওজন থেকেও স্পষ্ট বোঝা যায় যে এটি কোনো এডভান্স বা ভারী স্নাইপার রাইফেল নয়। বাস্তবে, উন্নত মানের স্নাইপার রাইফেলগুলো ওজনে ভারী হয়ে থাকে এবং তাদের গঠনেও থাকে জটিলতা, যা এই এয়ারগানে অনুপস্থিত।
অনুসন্ধান আরও দেখায়, বাংলাদেশে এই মডেলের এয়ারগান ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে এবং সেগুলোকে নিয়ে রিভিউ ভিডিওও পাওয়া যায়। অথচ সেনাবাহিনীর অভিযানের পর গণমাধ্যমগুলো যাচাই-বাছাই না করে এটিকে “স্নাইপার রাইফেল” হিসেবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর একাংশও যাচাই ছাড়াই এই খবর হুবহু অনুসরণ করে জনমনে ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি করে।
মূলত, একটি সাধারণ এবং সর্বসাধারণের নাগালের এয়ারগানকে ভয়ংকর স্নাইপার রাইফেল হিসেবে উপস্থাপন করায় গণমাধ্যমগুলোর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে এমন সংবেদনশীল ইস্যুতে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা ও তথ্য যাচাই প্রয়োজন ছিল, যা গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতার অংশ।
তথ্যসূত্র:
[https://www.indiamart.com/…/precihole-px120-minotaur…](https://www.indiamart.com/…/precihole-px120-minotaur… “”)
[https://www.youtube.com/watch?v=1pUD-dVXpqo](https://www.youtube.com/watch?v=1pUD-dVXpqo “”)