মিথ্যা দাবি ০০১
“ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।” দাবিটি ২০২৩ সালে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন সংবাদটিকে গুজব বলে নিশ্চিত করেছিল তথ্য যাচাইকারী বিভিন্ন সংস্থা।প্রচারিত দাবিটি নিয়ে আমরা অনুসন্ধান চালালেও উক্ত শিরোনামের বা দাবির যাতে সম্পর্কিত কোন ধরনের সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মিথ্যা দাবি ০০2
“ইসরায়েল কে মনো সমর্থন দেওয়ায় ড. ইউনুস কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু” শিরোনামে যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত ফটোকাটি ভুয়া। এই ফটো কার্ডটি পূর্বে ২০২৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।উক্ত ফটো কার্ডটি নিয়ে অনুসন্ধান করলে জানা যায় যমুনা টিভি এই শিরোনামের কোন সংবাদ বা ফটো কার্ড প্রচার করেনি এটি মূলত যমুনা টিভির একটি ফোটো কার্ডকে এডিট করে তৈরি করা।যার শিরোনাম ছিল “জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর”
মিথ্যা দাবি ০০৩
“ইজরায়েল তার আত্মরক্ষার অধিকার রাখে-ড. মুহাম্মদ ইউনূস” শিরোনামে প্রচারিত ফটো কার্ডটি ভুয়া।অনুসন্ধানে ডেইলি স্টারের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এই ফটো কার্ড ও শিরোনামের প্রতিবেদনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে দ্য ডেইলি স্টার এর ফেসবুক পেইজে একই ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটো কার্ড খুঁজে পাওয়া গেছে যার শিরোনাম ছিল “কেন শঙ্কিত হবো? আমি অপরাধ করিনি, শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাকে ডেকেছে, সে জন্য আমি এসেছি।” মূলত উক্ত ফটো কার্ডটিকেই এডিট করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
দা ডেইলি স্টারের আসল ফটো কার্ড:
মিথ্যা দাবি ০০৪
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ড. ইউনূসের সাথে করমর্দনের ছবিটি আসল নয় ছবিটি মূলত এডিট করার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।সম্পাদিত ছবিটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।মূলত ২০২৩ সালে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মারসোলো রেবেলো ডি সুজার সাথে ড. ইউনূসের করমর্দনের ছবি সম্পাদন করে ভুয়া ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের সাথে ডক্টর ইউনুস এর আসল ছবি-